বিভিন্ন করণে কর্মস্থল, চাকুরি বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ছুটির প্রয়েজ হয়। অফিসিয়াল ছুটির আবেদন ( Official Leave Application) ভিবিন্ন ধরনের হতে পারে যেমন অসুস্ততাজনিত ছুটি,নৈমাত্তিক ছুটি , অর্জি ত ছুটি ইত্যাদি। বাংলাদেশ শ্রম আইনে (Bangladesh Labor Law) ছুটি সংক্রন্ত বিষয়ে বেশ কিছু নিয়মাবলীর কথা উল্ল্যেখ করেছে।
অফিসিয়াল ছুটির আবেদন ( Official Leave Application) নিয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইনে (Bangladesh Labor Law) এর ধারা ১০ এ বেশ কিছু নিয়ম কানুন এর কথা তুলে ধরেছেন।
ধারা ১০ এর উপধারা (১) বলা হয়েছে কোন শ্রমিক ছুটি নিতে চাইলে প্রথমেই তাকে মালিকের নিকট লিখিতভাবে দরখাস্ত করতে হবে। এবং ছুটির দরখাস্তে ছুটিতে অবস্থানকালীন ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
উপধারা (২) বলা হয়েছে মালিক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা ছুটির দরখাস্ত প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে অথবা ছুটি শুরুর হওয়ার দুই দিন আগে ছুটির আদেশ প্রদান করবেন।
তবে শর্ত থাকে যে, জরুরী কারণবশতঃ যদি প্রার্থীত ছুটি দরখাস্তের তারিখে অথবা ছুটির দরখাস্তের তিন দিনের মধ্যে শুরু করতে হয়, তাহলে এইরূপ আদেশ দরখাস্ত প্রাপ্তির দিনেই প্রদান করতে হবে।
উপধারা (৩) যদি প্রার্থীত ছুটি মঞ্জুর করা হয়, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে একটি ছুটির পাস দিবেন।
উপধারা (৪) যদি প্রার্থীত ছুটি নামঞ্জুর বা স্থগিত করা হয়, তাহা হইলে নামঞ্জুর বা স্থগিতাদেশের কারণসহ ইহা সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে প্রার্থিত ছুটি আরম্ভ হওয়ার তারিখের পূর্বে অবহিত করিতে হইবে এবং এতদ্উদ্দেশ্যে রক্ষিত রেজিস্টারে ইহা লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
উপধারা (৫) যদি কোন শ্রমিক ছুটিতে যাওয়ার পর ছুটির মেয়াদ বর্ধিত করতে চান, তাহলে তাকে, সেই শ্রমিকরে ছুটি পাওনা থাকিলে, ছুটি শেষ হওয়ার যুক্তি সংগত সময় পূর্বে রেজিস্ট্রিকৃত ডাকযোগে লিখিতভাবে মালিকের নিকট দরখাস্ত করতে হবে এবং মালিককে ছুটি বর্ধিতকরণের আবেদন মঞ্জুর বা না মঞ্জুর করিয়া শ্রমিকের ছুটির ঠিকানায় লিখিতভাবে জানাইতে হইবে।