বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিক কত প্রকার (Differentiation of labor according to Bangladesh labor law) কি কি সে বিষয়ে ধারনা দিয়েছে। এমনকি শ্রমিকের প্রকারভেদ সম্পর্কেও সুস্পষ্ঠ ধারনা দেওয়া আছে।
Bangladesh labor law ( শ্রম আইনের ) অনুসারে ধারা ৪ এর উপধারা (১) অনুযায়ী- কাজের ধরন ও প্রকৃতির ভিত্তিতে কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকগণকে ৭ টি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয় যেমন:
(ক) শিক্ষাধীন
(খ) বদলী
(গ) সাময়িক
(ঘ) অস্থায়ী
(ঙ) শিক্ষানবিশ
(চ) স্থায়ী (ছ) মৌসুমী শ্রমিক
১) বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী (according to Bangladesh labor law)শিক্ষাধীন শ্রমিক কারা?
শ্রম আইনের ধারা ৪ এর উপধারা (2) অনুযায়ী- কোন শ্রমিককে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থী হিসাবে নিয়োগ করা হয় এবং প্রশিক্ষণকালে তাকে ভাতা প্রদান করা হয় তাকে শিক্ষাধীন শ্রমিক বলা হয়।
২) বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী (according to Bangladesh labor law) বদলি শ্রমিক কারা?
শ্রম আইনের ধারা ৪ এর উপধারা (৩) অনুযায়ী- কোন শ্রমিককে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে কোন স্থায়ী শ্রমিক বা শিক্ষানবিসের পদে তাদের সাময়িক অনুপস্থিতির কারনে সামিয়ক সময়ের জন্য নিযুক্ত করা হয় তাকে বদলি শ্রমিক বলা হয়।
৩) বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী (according to Bangladesh labor law) সাময়িক শ্রমিক কারা?
শ্রম আইনের ধারা ৪ এর উপধারা (৪) অনুযায়ী- কোন শ্রমিককে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে সাময়িক ধরনের কাজে সাময়িকভাবে তাকে নিয়োগ করা হয় তাকে সাময়িক শ্রমিক বলা হয়।
৪) বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী (according to Bangladesh labor law) সাময়িক শ্রমিক কারা? অস্থায়ী শ্রমিক কারা?
শ্রম আইনের ধারা ৪ এর উপধারা (৫) অনুযায়ী- কোন শ্রমিককে অস্থায়ী শ্রমিক বলা হবে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে তার নিয়োগ এমন কোন কাজের জন্য হয় যা কিনা শুধুমাত্র অস্থায়ী ধরনের এবং যা সীমিত সময় বা বা একটি নির্দিস্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এবং সচারচর এই একই ধরনের কাজ নিয়মিত থাকেনা তাদের স্থায়ী শ্রমিক বলে ।
৫) বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী (according to Bangladesh labor law) শিক্ষানবীশ শ্রমিক কারা?
শ্রম আইনের ধারা ৪ এর উপধারা (৬) অনুযায়ী- কোন শ্রমিককে শিক্ষানবিস শ্রমিক বলা হবে যদি কোন প্রতিষ্ঠানের কোন স্থায়ী পদে তাকে আপাততঃ নিয়োগ করা হয় এবং তার শিক্ষানবিশীকাল সমাপ্ত না হয়ে থাকে।
শ্রম আইনের ধারা ৪ এর উপধারা (৮) অনুযায়ী- কেরানী সংক্রান্ত কাজে নিযুক্ত হলে সেই শ্রমিকের শিক্ষানবীশ কাল হবে ৬ মাস আর অন্য যে কোন শ্রমিকের এই শিক্ষানবীশ কাল হবে ৩ মাস।
তবে শর্ত থাকে যে, একজন দক্ষ শ্রমিকের ক্ষেত্রে তার শিক্ষানবিশীকাল আরও তিন মাস বৃদ্ধি করা যাবে যদি কোন কারণে প্রথম তিন মাস শিক্ষানবিসীকালে তার কাজের মান নির্ণয় করা বা সে কেমন কাজ করে তা বোঝা সম্ভব না হয়।
আরও শর্ত থাকে যে, শিক্ষানবিশকাল শেষে বা তিন মাস মেয়াদ বৃদ্ধি শেষে কনফরমেশন লেটার দেওয়া না হইলেও উপ-ধারা (৭) এর বিধান অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট শ্রমিক স্থায়ী বলিয়া গণ্য হবে। মানে সে সরাসরি স্থায়ী শ্রমিকের সকল অধিকার প্রাপ্য হবে।
৬) ৫) বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী (according to Bangladesh labor law) স্থায়ী শ্রমিক কারা?
শ্রম আইনের ধারা ৪ এর উপধারা (৭) অনুযায়ী-কোন শ্রমিককে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে স্থায়ীভাবে নিযুক্ত করা হয়, অথবা প্রতিষ্ঠানে তিনি তাহার শিক্ষানবিশীকাল সন্তোষজনকভাবে সমাপ্ত করিয়া থাকেন তাদের কে স্থায়ী শ্রমিক বলা হয়।
৭) বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী (according to Bangladesh labor law) মৌসুমী শ্রমিক কারা?
শ্রম আইনের ধারা ৪ এর উপধারা (১১) অনুযায়ী- কোন শ্রমিককে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে মৌসুমকালে মৌসুমী কাজে নিয়োগ করা হয় এবং মৌসুম চলাকালীন পর্যন্ত কর্মরত থাকেন।
চিনি কল, আম বাগান, চাতাল প্রভৃতি শিল্প এবং মৌসুমী কারখানায় শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী বৎসরে নিয়োগকৃত শ্রমিকদেরকে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে।