Bangladesh Labor Law Canteen বা শ্রমিক ক্যান্টিন হলো যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে ১০০ জনের অধিক শ্রমিক নিযুক্ত থাকেন সে সকল প্রতিষ্ঠানে জন্য শ্রম আইন দ্বারা নির্ধারিত একটি Canteen। আর এই ক্যান্টিন থাকা খুবই জরুরী বাংলাদেশ শ্রম আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী। Canteen কমিটির বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায় বাংলাদেশ শ্রম আইনে ৯২ ধারায় Bangladesh Labor Law-92 এবং বিধিমালায় ৮৭ থেকে ৯১ ক্যান্টিনের ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে ।
জানা জরুরী বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী ক্যান্টিন স্থাপন করার ।
প্রথমতঃ নোটিশের মাধ্যমে সদস্য মনোনয়নের জন্য সকলকে আহ্বান করতে হবে।
দ্বিতীয়তঃ সকলের মতামতের উপর ভিত্তি করে সদস্য মনোনয়ন করতে হবে।
তৃতীয়তঃবাংলাদেশ শ্রম আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ক্যান্টিন পরিচালনা পদ্ধতি নির্ধারণ করা এবং তা সকলকে জানানো।
বাংলাদেশ শ্রম আইনে ৯২ ধারা Bangladesh Labor Law-92
(১) যে প্রতিষ্ঠান সাধারণত ১০০ জনের অধিক শ্রমিক নিযুক্ত থাকেন সে প্রতিষ্ঠানে তাহাদের ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট সংখ্যক ক্যান্টিন Canteen থাকিবে ।
(২) সরকারের বিধি দ্বারা-
(ক) কোন ক্যান্টিনের নির্মাণ স্থান সংস্থান, আসবার পত্র এবং অন্যান্য সরঞ্জাম এর মান নির্ধারণ করিবে
(খ) ক্যান্টিনের জন্যে একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন এবং উহার ব্যবস্থাপনায় শ্রমিক প্রতিনিধিত্বের জন্য
বিধান করিতে পারিবে
(৩) ক্যান্টিনে canteen কি ধরনের খাদ্য সরবরাহ করা হইবে এবং উহার মূল্য কত হইবে তাহা উক্ত ব্যবস্থাপনা কমিটি নির্ধাণ করিবে
বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা Bangladesh Labor Law
(১) প্রতিষ্ঠানের মালিক কর্তৃক মনোনীত এবং প্রতিষ্ঠানের করলাম কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রমিকদের মতামতের ভিত্তিতে মনোনীত সমসংখ্যক ব্যক্তির সমন্বয়ে ক্যান্টিন ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হইবে ।
(২) কমিটিতে শ্রমিক সদস্য দুই (২) জনের কম বা পাঁচ(৫) জনের অধিক হইতে পারিবে না।
(৩) প্রতিষ্ঠানের যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি থাকলে তাহারা শ্রমিক প্রতিনিধি মনোনীত করিবেন।
তবে শর্ত থাকে যে, প্রতিষ্ঠান যৌথ দরকষাকষি অবর্তমানে প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন বা ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠনসমূহ সমসংখ্যক শ্রমিক প্রতিনিধি মনোনীত করিবে এবং ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠনের অবর্তমানে অংশগ্রহণকমিটির শ্রমিক প্রতিনিধি মনোনয়ন করিবে।
প্রতিষ্ঠানের মালিক বা মালিকের অধিকারপ্রাপ্ত কল্যাণ কর্মকর্তা ক্যান্টিন ব্যবস্থাপনা কমিটি কার্যাদি তত্ত্বাবধান করিবেন ।
মালিক বা তাহার অধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিম্নবর্ণিত বিষয়ে ক্যান্টিন ব্যবস্থাপনা কমিটির পরামর্শ গ্রহণ করিবেন যথা –
(ক) ক্যান্টিনে যেসব খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করা হইবে আর মান ও পরিমাণ
(খ) খাদ্য তালিকা ও খাদ্যের মূল্য নির্ধারণ
(গ) ক্যান্টিনে খাইবার সময়
(ঘ) ক্যান্টিনে সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়
নোটিশ এর নমুনা তারিখ- —————– ইং
এতদ্বারা সকল শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ কমিটি ও ট্রেড ইউনিয়নের সদস্যদের জানানো যাচ্ছে যে ,কারখানা কর্তৃপক্ষ ক্যান্টিন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উক্ত কমিটি গঠনের জন্য আগামী ——————– তারিখ বিকাল ৪টায় ৪র্থ তলায় ————স্থান——— উপস্থিত থেকে কমিটি গঠনের কাজে সহযোগীতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
অনুরোধক্রমে,
কল্যান কর্মকর্তা।
অনুলিপিঃ
১. মহাব্যবস্থাপক
২. উপঃ ব্যবস্থাপক (এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স)
৩. সকল বিভাগীয় প্রধান
৪. নোটিশ বোর্ড
কমিটি গঠনে উপস্থিত ব্যক্তিগনের স্বাক্ষর এর নমুনা
তারিখ- —————–
ক্রমিক নং | নাম | কার্ড নং | সেকশন | স্বাক্ষর |
১ | ||||
২ | ||||
৩ |
নোটিশএর নমুনা
এতদ্বারা সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, গত ———————ইং তারিখ বিকাল ৪ টায় ৪র্থ তলার ট্রেনিং রুমে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত সকলের মতামতের ভিত্তিতে সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নক্ত ব্যক্তিবর্গকে “ ক্যান্টিন” কমিটির সদস্য মনোনীত করা হয়েছে।
ক্রমিক নং | নাম | কার্ড নং | সেকশন | পদমর্যদা | ছবি |
১ | সভাপতি | ||||
২ | সহ-সভাপতি | ||||
৩ | সদস্য | ||||
৪ | সদস্য | ||||
৫ | সদস্য |
ধন্যবাদান্তে
কল্যান কর্মকর্তা।
অনুলিপিঃ
১. মহাব্যবস্থাপক
২. উপঃ ব্যবস্থাপক (এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স)
৩. সকল বিভাগীয় প্রধান
৪. নোটিশ বোর্ড
ক্যান্টিন পরিচালনা পদ্ধতি”
উদ্দেশ্যঃ কর্মরত শ্রমিকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এবং শ্রম আইন বাস্তবায়নের বিবেচনায় কারখানার ৪র্থ তলায় একটি ক্যান্টিন স্থাপন করা হয়েছে।
মালিক বা তাহার প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিম্নবর্ণিত বিষয়ে ক্যান্টিন ব্যবস্থাপনা কমিটির পরামর্শ গ্রহণ করিবেন। যথা-
(ক) ক্যান্টিনে যেসব খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করা হইবে উহার মানও পরিমাণ;
(খ) খাদ্য তালিকা ও খাদ্যের মূল্য নির্ধারণ;
(গ) ক্যান্টিনে খাইবার সময়; এবং
(ঘ) ক্যান্টিনের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়।
(১) ক্যান্টিনে পরিবেশনকারী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ পোশাক প্রদান করিতে হইবে এবং উহা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করিতে হইবে;
(২) ক্যান্টিন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য উহাতে পর্যাপ্ত সংখ্যক বাসন-কোসন, চামচ, আসবাবপত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামের ব্যবস্থা থাকিতে হইবে;
(৩)আসবাবপত্র, বাসন-কোসন এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং স্বাস্থ্য-সম্মতভাবে সংরক্ষণ করিতে হইবে।
(৪) ক্যান্টিনে সার্ভিস কাউন্টারের ব্যবস্থা করা হইলে, উহারউপরিভাগ মসৃণ এবং অভেদ্য পদার্থ দ্বারা তৈরি হইতে হইবে;
(৫) ক্যান্টিনে সকল খাদ্যদ্রব্য এমনভাবে সংরক্ষণ ও পরিবেশন করিতে হইবে যাহাতে কোন প্রকার মশা মাছি এবং ধূলা-বালির সংস্পর্শে না আসে অথবা কোন ভাবে দূষিত হইতে না পারে;
(৬) ক্যান্টিনে পর্যাপ্ত গরম পানির সরবরাহসহ বাসন-কোসন ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি ধৌত করিবার জন্য উপযুক্ত সুবিধার ব্যবস্থা করিতে হইবে।
১) ক্যান্টিন প্রতিদিন সকাল —টা থেকে —টা পর্যন্ত এবং বিকাল —টা থেকে —টা পর্যন্ত খোলা থাকবে;
২) শ্রমিকগণ নির্দিষ্ট সময় মোতাবেক সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজার, এপিএম অথবা বিভাগীয় প্রধানের অনুমতি সাপেক্ষে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্যান্টিনে খেতে যেতে পারবেন;
৩) সর্বোচ্চ —মিনিটের মধ্যে খাবার শেষ করে কর্মস্থলে ফিরে আসতে হবে।
ক্যান্টিন পরিচালনা কমিটি
একটি ছয় (৫) সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ক্যান্টিন পরিচালনা করার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।
নিম্মোক্ত সদস্যদের নিয়ে ক্যান্টিন পরিচালিত হবে।
ক্র. নং | নাম | পদবী | স্বাক্ষর |
১) ক্যান্টিন বয় বিএসটিআই অনুমোদিত এবং খাবারের গুণগত মান সম্পর্কে জ্ঞাত ও খাবার সর্বদা টাটকা খাবার রাখা ও পরিবেশন করতে হবে।
২) নিজে সর্বদা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে;
৩) ক্যান্টিনে রক্ষিত সমস্ত খাদ্য দ্রব্য স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে, যেমন-হেয়ার নেট, হ্যান্ড গ্লাভস, চিমটা ও মাস্ক ব্যবহার করে পরিবেশন করতে হবে।
ক্যান্টিন যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় এবং মান-সম্মত অবস্থা বজায় থাকে এবং তা যেন সব সময় শ্রমিকদের প্রয়োজন অনুযায়ী হয়, সে দৃষ্টিকোণ থেকে শ্রমিক ও মালিক পক্ষের সমন্বয়ে সর্বোচ্চ ০৫ (পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট একটি “ক্যান্টিন ব্যবস্থাপনা কমিটি” গঠন করা হয়েছে।
১) ডাইনিং হলের যেকোন একটি সুবিধাজনক স্থানে একটি র্যাক, খাদ্য সামগ্রী রাখার জন্য একটি বাক্স ব্যবস্থাদি থাকতে হবে। যেখানে প্রতিদিনের জন্য আগত খাদ্য সামগ্রী সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখতে হবে;
২) ক্যান্টিনে সকল দ্রব্যাদি অলাভজনক মূল্যে বিক্রয় করতে হবে;
৩) কোন ধরনের ধূমপান, নেশা জাতীয় দ্রব্য, যেমন-বিড়ি, সিগারেট, দিয়াশলাই, পান, জর্দ্দা, তামাক, গুল, গাঁজা, ফেনসিডিল, হিরোইন, ইয়াবা, এলকোহল ইত্যাদি রাখা বা বিক্রি করা নিষিদ্ধ;
৪) খাদ্য সামগ্রীর মূল্য তালিকা প্রকাশ্যে স্থানে টাঙ্গিয়ে রাখা এবং প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর মার্কেট মূল্য সাথে যাচাই-বাচাই করে পরিবর্তিত মূল্য তালিকা সংশোধন করা হবে;
৫)“ক্যান্টিন ব্যবস্থাপনা কমিটি” কর্তৃক ক্যান্টিন বয়-এর কোন ধরনের খোস-পাচড়া, চুলকানি বা অন্য কোন চর্মরোগ আছে কি না তা নিশ্চিত করার জন্য স্কিন টেস্ট করানো হয়;
৬) ফ্যাক্টরীতে কর্মরত কোন শ্রমিক যদি খাদ্যের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাহলে তা “ক্যান্টিন ব্যবস্থাপনা কমিটি”র সাথে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করে থাকেন;
৭) ক্যান্টিনের একটি বোর্ড থাকবে যেখানে সরবরাহকৃত খাদ্য পণ্যের নাম, নির্দিষ্ট মূল্য তালিকা, খাদ্য সামগ্রী উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদাত্তীর্ণের তারিখ, ক্যান্টিন ব্যবস্থাপনা কমিটির পরিচিতিমূলক নাম ও ছবি প্রদর্শিত থাকবে;
৮) “ক্যান্টিন ব্যবস্থাপনা কমিটি” কর্তৃক অনুমোদিত খাদ্য দ্রব্য ব্যতীত অন্য কোন দ্রব্য ক্যান্টিনে বিক্রয় করা যাবে না;
৯) “ক্যান্টিন ব্যবস্থাপনা কমিটি” যেকোন সময় ক্যান্টিনে রক্ষিত খাবারের মান পরীক্ষা, ক্যান্টিনের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, ক্যান্টিন বয়ের পরিবেশন ও কার্য দক্ষতা পর্যবেক্ষণ করা;
১০) উক্ত কমিটিকে কল্যাণ কর্মকতা তদারকি করবেন।
১১) মাসে এক (১) বার সভা অনুষ্ঠিত করা এবং খাবারের মান উৎকর্ষ ও পণ্যের মূল্য বিষয়ে তদারকি করা।
১২) ক্রয়মূল্য ও বিক্রয় মূল্যের মধ্যে যেন কোন ব্যবধান না থাকে সেদিকে খেয়াল করা।
১৩). ক্যান্টিনের যাবতীয় পরিবেশ, নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ের উপর নজর রাখা।
১) ক্যান্টিনে রক্ষিত খাদ্য সামগ্রী অথবা ক্যান্টিন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে কারো কোন পরামর্শ বা অভিযোগ থাকলে “ক্যান্টিন ব্যবস্থাপনা কমিটি”কে জানানোর জন্য পরামর্শ দেয়া হল।
নোটিশ
সংশ্লিষ্ট সকলের আবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামী ………….২০–ইং তারিখে বেলা ——- ঘটিকার সময় কারখানার কনফারেন্স রূমে ক্যান্টিন পরিচালনা কমিটির সভা আহবান করা হয়েছে। উক্ত সভায় সকল সদস্যদের কে যথা সময়ে উপস্থিত হয়ে সুচিন্তিত মতামত প্রদানের জন্য আহবান করা যাচ্ছে।
সভার অলোচ্য সূচীঃ
১। খাবারের মান নিয়ন্ত্রন করা।
২। পণ্যের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য সামঞ্জস্য রাখা
৩। ক্যান্টিনের পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
ধন্যবাদান্তে,
কল্যান কর্মকর্তা।
উপস্তিতির নাম ও সাক্ষর
ক্র. নং | নাম | পদবী | সেকশন | স্বাক্ষর |
১ | ||||
২ | ||||
৩ | ||||
৪ |
১.বিগত গুটি কয়েক দিন ধরে দেখা যাচ্ছে যে, ক্যান্টিনের খাবারের মান নিয়ে কর্মচারীদের মধ্য একটি অসন্তোষ রয়েছে। এ ব্যাপারে এখন থেকে খাবার ক্রয় করার পর গুরগত মান পরীক্ষা করে ক্যান্টিনে সরবরাহ করা হবে।
২. ক্যান্টিন কোন লাভজনক প্রতিষ্ঠান নহে এবং বিক্রয় মূল্য সমান হতে হবে।
৩. ওয়েষ্টেজ গুলো যেখানে সেখানে না ফেলে নির্ধারিত স্থানে ফেলতে হবে, যাতে পরিবেশ দূষিত না হয়।
পরিশেষে সকলের সম্মতিক্রমে সভাপতি সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
ধন্যবাদান্তে
কল্যান কর্মকর্তা।