XYZ লিঃ এ কর্মরত সকল কর্মচারীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নিয়ম নীতি সম্বন্ধে প্রয়োজনীয় ধারনা প্রদান করাই এ হ্যান্ডবুক (Hand Book) এর উদ্দেশ্য। এই নীতিমালা বাংলাদেশের প্রচলিত শ্রম আইন এবং বায়ারদের/ক্রেতাদের/আচরন বিধি/নিয়মনীতি তৈরী হয়েছে যা দ্বারা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন এবং আইএলও কনভেনশন এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই বই এর বিভিন্ন ধারা পরিবর্তন যোগ্য।
প্রনয়নেঃ (এইচ, আর এ্যান্ড কমপ্লায়েন
---------------------------------
---------------------------------
বাংলাদেশ কারখানা আইনের সারাংশ নিম্নে দেওয়া হল:
কোন কারখানাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রনের জন্য কারখানার নিজস্ব নীতিমালা থাকতে পারে। কিন্তু এ রূপ নীতিমালা ও আইনে বর্নিত সুবিধা হতে কম হতে পারবে না।
উৎপাদনের সাথে সংশ্লিষ্ট দক্ষ, অদক্ষ্য, কারিগরিক বা করনিক কাজে লিপ্ত সকলকেই কর্মী হিসেবে আখ্যায়িত করা হবে।
জনবলের আভিধানিক বিষয় হল- বয়স্ক, কিশোর, শিশু।
(ক) বয়স্ক ব্যক্তি (Adult) – যে ব্যক্তি তার ১৮ বছর বয়সকাল পূর্ণ করেছে।
(খ) কিশোর (Adolescent) – যে ব্যক্তির বয়স ১৪ বছরের অধিক কিন্তু ১৮ বছরের নিচে।
(গ) শিশু (Child) – যে ব্যক্তি তার ১৪ বছর বয়স কাল পূর্ন করে নাই।
কোন কারখানাতে নিযুক্ত এক জন শ্রমিকের কাজের প্রকৃতি এবং অবস্থানুযায়ী এবং আইনের বিধান মোতাবেক ৭ টি ভাগে বিভক্ত। করনিক প্রকৃতির কাজে শ্রমিকের অবেক্ষমানকাল ৬ মাস হবে এবং অন্যান্য শ্রমিকের জন্য ৩ মাস হবে।
ফ্যাক্টরীতে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা সমন্ধে সচেতন থাকা বাঞ্চনীয়। ফ্যাক্টরীতে কর্মরত থাকাকালীন নিমোক্ত বিষয়ে ব্যক্তিগত ও সম্মিত প্রচেষ্টা অত্যন্ত জরূরী :
1. মেশিন সংক্রান্ত নিরাপত্তাঃ(Mechanical Safety):
মেশিন চালনার পূর্বে মেকানিক্স/অপারেটর কর্তৃক নিরিক্ষা করে চালনা শুরূ করবে। যে অংশের দ্বারা যে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে সে সব ক্ষেত্রে দূর্ঘটনা এড়ানোর জন্য প্রত্যেককে সচেতন হওয়া এবং নির্দেশ মোতাবেক কর্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন বাধ্যতামূলক।
2. বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা(Electrical Safety):
নির্ধারিত ব্যক্তি ছাড়া বৈদ্যুতিক ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা সম্পূর্ন নিষিদ্ধ। এই ব্যাপারে ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগতভাবে সতর্কতা অবলম্বন করা বাঞ্চনীয়।
3. ব্যক্তিগত নিরাপত্তা(Personal Safety):
ফ্যাক্টরীতে অবস্থানকালীন বিশেষ করে কর্মসম্পাদনের চলাচলের সময় নিরাপত্তার প্রতি প্রত্যেককে যতবান হওয়ার জন্য বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে।
4. অগ্নি থেকে নিজেকে/ সম্পদকে রক্ষা করা (Save from fire own & Assets):
ফ্যাক্টরীতে অগ্নিরোধের ব্যাপারে কিংবা অগ্নিনির্বাপনের জন্য বিভিন্ন দল রয়েছে। কোনভাবেই আতঙ্ক গ্রস্থ না হইয়া নির্দেশ মোতাবেক কাজ করা বাঞ্চনীয়। ব্যক্তিগত সচেতনতার মাধ্যমে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব।
নিম্নতম মজুরীর হার ঃ২০০৬ সনের শ্রম আইনের ধারা-১৩৮,১৩৯ গেজেট বিজ্ঞপ্তি ২৪ জানুয়ারী ’২০১৯)
ওভার টাইম প্রতিঘন্টা: মূল মজুরী /২০৮২ঘন্টা
বেতন ও ভাতা পরিশোধঃ পরবর্তী মাসের ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে পূর্ববর্তী মাসের বেতন ও ভাতা পরিশোধ করা হয়।
Grade | Basic | House Rent | Medical | Transport | Food | Gross |
Grade-1 | 9044 | 4522 | 600 | 350 | 900 | 15416 |
Grade-2 | 5330 | 2665 | 600 | 350 | 900 | 9845 |
Grade-3 | 4998 | 2499 | 600 | 350 | 900 | 9347 |
Grade-4 | 4683 | 2342 | 600 | 350 | 900 | 8875 |
1. বাড়ী ভাড়া মূল মজুরীর অর্ধেক
2. চিকিৎসাভাতা ৬০০ ।
3. মুল মজুরীর সমপরিমান বৎসরে ২টি উৎসব বোনাস প্রদান করা হয় (তবে কর্মীকে অবশ্যই ১ বৎসর চাকুরী করতে হবে)
4. শ্রমিককে বাৎসরিক নুন্যতম ৫% বেতন বৃদ্ধি ও পদোন্নতি প্রদান করা হয়।
প্রাপ্ত বয়স্কদের কাজের সময়/ঘন্টা
প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের সুযোগ/সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে উদারমনা। প্রয়োজন অনুযায়ী শ্রমিকদেরকে সরকার কর্র্তৃক ঘোষিত ছুটি সমুহ ছাড়াও সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ছুটি প্রদান করে থাকে এ ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত ছুটি প্রদানের নিমিত্তে নিম্নে বর্নিত নীতিমালা অনুসরন করা হয়ঃ
হয়রানী ও দূর্ব্যবহারঃ
দৈহিক নির্যাতন অথবা দূর্ব্যবহার কিংবা দমনমূলক ব্যবহার, সে মানসিক অথবা দৈহিক যাই হোক না কেন তা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এতদক্ষেত্রে অপরাধের ধরন অনুযায়ী শ্রম আইনে বর্নিত শাস্তিদান পদ্ধতি অনুসরনীয় হবে।
অভিযোগ উত্থাপনের পদ্ধতিঃ মালিকের কাছে কোন শ্রমিকের ব্যক্তিগত কোন অভিযোগ থাকলে তা প্রথমে মালিকের গোচরে আনতে হবে এবং মালিক তার প্রতিকার না করলে সে আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করতে পারে। শ্রমিক কর্তৃক তার অভিযোগ লিখিত ভাবে অভিযোগ বেক্স ও মৌখিকভাবে কার যায় অভিযোগ নিরাশন কমিটি ও পিসি কমিটির মাধ্যমে নিস্পত্তি করা হয়ে থাকে। ২০০৬ সালের শ্রম আইনের ৩৩(১) ধারায় অভিযোগ নোটিশ পাঠানোর নিয়ম এবং সময়সীমা বর্নিত হয়েছে।
সাক্ষাৎকারঃ
কোন কর্মচারীর কোন অভিযোগ যদি থাকে তা নির্বাহী পরিচালক কর্তৃক সাক্ষাৎার গ্রহনের মাধ্যমে তাকে অনুপ্রানিত করা যায়।
মজুরী হতে কর্তনঃ
মজুরী পরিশোধ আইন ২০০৬ মোতাবেক শ্রমিকের মজুরি হইতে নিম্নোক্ত বিষয়ে কর্তন করা যাবেঃ
কোন শ্রমিক কোন কারনে কারখানা হতে চলে গেলে অবশ্যই পাওনা পরিশোধ করতে হবে। কারখানার দাবী-দাওয়া অথবা শ্রমিকের পাওনা ইত্যাদি।
1. ছাঁটাই (Retrenchment)t (ধারা-২০) কর্মীকে ১ মাসের নোটিশ অথবা তৎপরিবর্তে সমপরিমান সময়ের মজুরি সহ ছাটাই করা যাবে।
এ ক্ষেত্রে ১ বছর চাকুরী পূর্ন হলে ৩০ দিনের মজুরি ক্ষতিপুরন হিসাবে পাবে।
2.কর্মচ্যুতি (Discharge)t (ধারা-২২) দৈহিক বা মানসিক অক্ষমতার কারনে অথবা অসদাচরনের পর্যায়ে পড়ে এমন কারনে শ্রমিককে চাকুরী থেকে কর্মচ্যুত করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ১ বছরের অব্যাহত চাকুরী পূর্ন হলে ৩০ দিনের মজুরি ক্ষতিপুরন হিসাবে পাবে।
3. বরখাস্ত (Dismissal)t কোন রুপ প্রারম্ভিক নোটিশ বা নোটিশের পরিবর্তে বেতন প্রদানে অথবা কোন ক্ষতিপুরন ছাড়াই নিম্ন লিখিত কারনে একজন শ্রমিকে চাকুরী হতে রবখাস্ত করা যেতে পারে।
অনৈতিক অপরাধের কারনে যদি সাজা পেয়ে থাকে অথবা সে যদি এই আইনের বর্নিত অসদাচররনর দায়ে দোষী সাব্যস্থ হয়।
1. কোন স্থায়ী শ্রমিক, চাকুরী হতে অব্যহতি গ্রহন করতে চাইলে তাকে ২ মাস পূর্বে জানাতে হবে অথবা ২ মাসের মজুরী মালিকে প্রদান করতে হবে।
আরো জানতে-Procedures for hiring workers।। কারখানায় শ্রমিক নিয়োগের ধাপ বা পদ্ধতি
শ্রমিকদের সহিত আচরন সংক্রান্ত নীতিমালাঃ
XYZ এ কর্মরত শ্রমিকদের সহিত শ্রম ও নীতিমালা অনুযায়ী আচরন সংক্রান্ত অবশ্য পালনীয় নীতিমালাঃ শ্রমিকদেরকে গালাগালি, কটুক্তি, শারীরিক, মেীখিক এবং মানসিকভাবে নিযার্তন সম্পূর্ন নিষিদ্ধি। কাহার ও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানেত হলে তার বিরুদ্ধে প্রচলিত শ্রম আইন মোতাবেক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এই কারখানায় যোগ্যতার ভিত্তিতে উৎপাদন নিশ্চিত করা হয়।এই ক্ষেত্রে কোনরুপ উৎপাদনের সংখ্যা নির্ধারনের নিয়ম নেই। ইহা সম্পর্নভাবে নিষিদ্ধ। যোগত্যা অনুযায়ী প্রতিটি শ্রমিকের বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি ও পদোন্নতির সুযোগ/নিয়ম আছে। এ ক্ষেত্রে কোন রুপ বৈষম্য সম্পর্ন নিষিদ্ধ।
এই কারখারনায় শ্রমিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তামূলক যন্ত্রের ব্যবস্থা আছে। উহার ব্যবস্থা ,কার্যকারিতা সম্বন্ধে জানতে ও জানাতে সকল শ্রমিক ,কর্মচারী এবং কর্মকর্তাকে বিশেষ ভাবে নির্দেশ প্রদান করা হয়। প্রত্যেক শ্রমিকের কারখানায় প্রবেশ মাত্র ব্যক্তিগত নিরাপত্তামূলক যন্ত্র ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।
অভিযোগ উত্থাপনঃ XYZ এ শ্রমিক/কর্মচারীদের সার্বিক কল্যান ও মঙ্গলের জন্য সর্বদা সতেষ্ট। এ ক্ষেত্রে শ্রমিকদের অভিযোগ/সুপারিশ পেশের জন্য নিম্নে বর্নিত পদ্ধতি নীতিমালা অনুসরন করে।
1. অভিযোগ/ সুপারিশ জানানোর জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দ্বার সব সময় সবার জন্য উম্মুক্ত।
2.ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত ভাবে শ্রমিকেরা তাদের অভিযোগ /সুপারিশ লিখিত/মৌখিক ভাবে নিম্ন বর্নিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে জানাতে পারে।
3. শ্রমিকেরা পদানুযায়ী (Channel Wise) অভিযোগ জানাতে পারে অর্থাৎ সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলে তা লাইন চফিকে ,লাইন চীফের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হলে তা এপি এম এর নিকট , এপিএম এর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হলে তা পি এম এর নিকট, পি এম এর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলে তা জি এম (প্রোডাক্টশন)/ জি এম এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স -এর নিকট উত্থাপন করা যাবে। জি এম (প্রোডাকশন) / জি এম এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স এর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলে তা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট জানান যাবে।
4. ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা পূর্বক অভিযোগ /সুপারিশ পেশের ক্ষেত্রে কারখানার প্রতিটি ফ্লোরে পযার্প্ত সংখ্যক অভিযোগ /সুপারিশ পেশ সংক্রান্ত বাক্স স্থাপন করা আছে। শ্রমিকেরা ইচ্ছা করলে এই অভিযোগ/সুপারিশ কক্সের মাধ্যমে তাদের বক্তব্য পেশ করতে পারে।
1. অভিযোগ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ তৎক্ষনাৎ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকে।
2. কর্তৃপক্ষ প্রতিমাসে সকল স্তরের শ্রমিকের সাথে মিলিত হন এবং তাদের বিভিন্ন অভিযোগ থাকলে তা আইন ও নীতিমালা মোতাবেক ঘটনার সত্যতা যাচাই পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
3. যে কোন শ্রমিক তাদের সুপারভাইজারের বিরূদ্ধে সরাসরি বা লিখিত ভাবে অভিযোগ জি এম প্রোডাক্টশন/ এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স কে বিনা বাধায় জানাতে পারে।
4. এ ছাড়াও ফ্যাক্টরী ইনচার্জ মাসে অনন্ত একবার সমস্ত শ্রমিকদের সাথে প্রত্যক্ষভাবে কথোপকথনে মিলিত হয়ে থাকেন এবং এ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
5. এ নীতিমালা কঠোর ভাবে অনুসরন করা হয়। অভিযোগ পেশের ক্ষেত্রে সকল অবস্থায় ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় নিশ্চয়তা আছে।
অত্র কারখানায় এক জন যোগ্য শ্রমিক যেমন যোগদান করতে পারেন, তেমনি ভাবে নিয়মনীতির ব্যপারে সচেতন না থাকলে সহজেই চাকুরী হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। নিয়মনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল শ্রমিকগণ দীর্ঘদিন অবস্থান করে অধিক উৎপাদনে সাহায্য করতে পারেন এবং অন্যদেরকে উৎসাহিত করতে সক্ষম।
প্রতিটি ফ্যাক্টরীতে নিয়ম-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নির্ধারিত কিছ‚ নিয়ম রয়েছে। মূলত ফ্যাক্টরীতে কাজের পরিবেশ রক্ষা এবং প্রত্যেক শ্রমিককে ভুল সংশোধনের উদ্দেশ্যে নিন্মোক্ত নিয়ম পালন করা হয়ে থাকেঃ
উপরোক্ত ব্যবস্থায় ফলাফল না পাওয়াগেলে নিয়ম মাফিক কার্যকারী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়ে থাকে।
প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের সুযোগ সুবিধা প্রদান নিশ্চিত করা মালিক কর্তৃপক্ষের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। সর্বদা যেইসব ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে তা নিন্মে উল্লেখকরা হলোঃ
১. পুরুষ ও মহিলা শ্রমিকদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পর্দাঘেরা ধৌতগারের আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে।
২. অনুরুপ সুবিধাদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং সহজগম্য করার ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রতিটি বিভাগে কাজ করার সময় নির্দিষ্ট সরঞ্জামাদি সহ প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স সহজগম্য স্থানে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও যাতে শ্রমিকগন সহজে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা পেতে পারে তার জন্য প্রতিটি বিভাগে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত দুজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির তত্ত্ববোধানে বাক্স স্থাপন করা হয়েছে। উক্ত ব্যক্তির ছবি বাক্সেও গায়ে লাগান এবং সহজে সনাক্ত করতে পারে এমন বিশেষ পোষাকের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আমরা সর্বদাই আশা করি আমাদের শ্রমিকদের বাংলাদেশর প্রচলিত শ্রম আইন এবং কোম্পানীর নিজস্ব আইন সম্বন্ধে স্বচ্ছ ধারনা থাকা উচিত। কোম্পানীর একটি ভালো এবং নিরাপদ পরিবেশ আমাদের ক্রেতাদেও গুনগতমানের পন্য সরবারহ করতে সাহায্য করবে। এই বইটিতে আমাদের দেশের প্রচলিত শ্রম আইন এবং আমাদের কোম্পানীর নিয়ম নীতি পরিস্কার ভাবে বর্ণিত হয়েছে। এই ক্ষেত্রে লক্ষণীয় হলো, সময়ের সাথে সাথে আমাদের কোম্পানীর নিয়ম নীতির বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে, এই পুস্তক সর্বশেষ তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এই হ্যান্ডবুক খানা আপনার দৈনন্দিন কার্যক্রম সম্পাদনে সহায়ক হবে।