1. admin@hrmbangladesh.com : hrmsonia :
Recruitment Policy| নিয়োগ নীতিমালা কি?
শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:১০ পূর্বাহ্ন

Recruitment Policy| নিয়োগ নীতিমালা

Reporter
  • Update Time : বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২২
  • ৮১৬ Time View
Recruitment Policy, নিয়োগ নীতিমালা;
Recruitment Policy, নিয়োগ নীতিমালা;

Recruitment Policy| নিয়োগ নীতিমালা একটি প্রতিস্ঠানের জন্য খুবই জরুরী

কর্তৃপক্ষ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, অত্র কোম্পানির শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের সকল প্রকার ,ধর্ম, বর্ণ এবং লিঙ্গভেদে পক্ষপাত মূলক আচরণ না করে নিয়োগ দেয়া  এবং সেই সাথে সকল প্রকার অসন্তুষ্টি, ভূল বুঝাবুঝি এবং দ্বন্দের অবসান ঘটানোর জন্য একটি আইন সম্মত ও সময় উপযোগী, নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। আর সেই উদ্দেশ্য সামনে রেখে কর্তৃপক্ষ অত্র নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।

ক্ষেত্র (Scope/Target Group): এর কর্মরত সকল কর্মকর্তা,কর্মচারী এবং অত্র কোম্পানীর  আওতাধীন সকল অঙ্গ প্রতিষ্ঠানে অত্র নীতিমালা  সমভাবে প্রযোজ্য ।প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত নিয়োগ পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রাপ্তি সাপেক্ষে সর্বোৎকৃষ্ট ব্যক্তিকে প্রত্যেক পদে  নিয়োগ প্রদান করা।

 নীতিমালা বাস্তবায়নের দায়িত্ব  (Management Representative):

নিয়োগ নীতিমালা বাস্তবায়নে নরবান কমটেক্স লিঃ এর নির্দিষ্ট ব্যাক্তিবর্গের / সেকশন এর উপর দায়িত্ব অর্পন করা আছে। তাদের মধ্যে প্রধানতম হচ্ছে প্রশাসন, মানব সম্পদ ও কমপ্লায়েন্স এবং মেডিকেল বিভাগ।

বাস্তবায়ন (Organization):

 নিয়োগ নীতিমালা বাস্তবায়নে এর নির্দিষ্ট ব্যাক্তিবর্গের উপর দ্বায়িত্ব অর্পণ করা আছে অত্র নীতিমালা সঠিকভাবে বাতবায়িত ও পরিচালিত হচ্ছে কিনা।

কার্যপ্রনালী ও কার্যপোকরণ (Routines & Procedures):

শ্রমিক নিয়োগ পদ্ধতিঃ

আমাদের কারখানার শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।প্রধানতঃ রাষ্ট্রীয় আইন মেনে চলে, তবে অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতাদের নিয়ম, মান, আচরণ বিধি ইত্যাদি মেনে চলতে  হয়, যদি সেটা স্থানীয় আইনের পরিপন্থি না হয়।

1.       উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমোদন ব্যতিত কোন পদে নিয়োগ দেয়া হয় না।

2.       শ্রমিকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে নূন্যতম বয়স সাধারণতঃ ১৮ বছর; এ ব্যপারে সর্বদা বাংলাদেশের প্রচলিত শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধণী-২০১৮) এবং বিধী-২০১৫ অনুসরণ করে চলে।

3.       স্থানীয় আইন অনুযায়ী নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরী মাসিক ………………..টাকা।

4.       প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী কর্মচারীরা সকল ছুটি ভোগ করিবে।

5.       বেতন বৃদ্ধি ও পদোন্নতি প্রত্যেক কর্মচারীর দক্ষতা ও নৈপুণ্যের ভিত্তিতে কোন প্রকার বৈষম্য ছাড়া দেওয়া হয়

6.       মহিলা কর্মচারীদের প্রসূতিকালীন ছুটি স্থানীয় আইন অনুযায়ী প্রদান করা হয়।

7.       আইনের আওতা ব্যতিত কর্মচ্যুত বা বরখাস্তকৃত কর্মচারীকে পুনঃ নিয়োগ দেয়া হয়না।

8.       চুরি, জালিয়াতি, খুন বা এই জাতীয় কোন অপরাধে অভিযুক্ত চাকুরী পাবার যোগ্য হবে না। চাকুরী প্রাপ্তির পরে কারো বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, ইন্টারভিউর সময় মিথ্যা তথ্য দেয়ার কারণে তাকে চাকুরীচ্যূত করা হইবে।

9.       অবৈধ পাচারকারী কর্মী যারা বাংলাদেশের নাগরিক নন বা যারা রিফুজি এবং এক দেশ হতে অন্য দেশে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করে, তাদেরকে নিয়োগদানে প্রতিরোধ করতে কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দেয়া সকল তথ্য যাচাই বাছাই করিয়া থাকে।

10.   নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম  চাকুরীতে উপস্থিত/ হাজিরার দিন থেকে চাকুরীতে যোগদানের তারিখ হিসাব করা হবে।

শ্রমিক নিয়োগের পদ্ধতি নিরুপঃ

1.       সকল শ্রমিককে (পুরুষ/মহিলা) ন্যায় সঙ্গত উপায়ে নিয়োগ করা হয়।

2.       পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রদান।

3.       ওয়েব সাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রদান

4.     আশে পাশের এলাকায় এবং ফ্যাক্টরীর প্রধান ফটকের নোটিশ বোর্ডে, লিফলেট বিতরন কিংবা ব্যানারে বিজ্ঞপ্তি প্রদান।

প্রার্থীকে আবেদন পত্রের সঙ্গে নিম্মে প্রদত্ত কাগজপত্র অবশ্যই সংযুক্ত করতে হবে ঃ

1.       পূর্ণ জীবন বৃত্তান্তসহ আবেদনপত্র এবং পাসপোর্ট সাইজের ২ (দুই) কপি ছবি।

2.       সিটি কর্পোরেশন অথবা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত চারিত্রিক সনদপত্র।

3.       শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র এবং অভিজ্ঞতার সনদপত্র (প্রসঙ্গানুসারে)।

4.       জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি।

নিম্মোক্ত পদ্ধতিতে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়ঃ

1.       লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা।

2.       ব্যক্তিগত দক্ষতার ভিত্তিতে ব্যবহারিক পরীক্ষা।

3.       নিয়োগ কমিটি ভিতরে-বাইরে কোন ব্যক্তি দ্বারা প্রভাবিত হইবে না।

4.       উপযুক্ত প্রার্থীকে প্রতিষ্ঠানের ডাক্তারের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক পরীক্ষা করা হবে এবং কোন রকম শারীরিক ও মানসিক অসুস্থ্যতা চাকুরী প্রাপ্তিতে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

নিয়োগের পর নির্দিষ্ট তারিখে অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের ”প্রশাসনিক/মানব সম্পদ” বিভাগে উপস্থিত হইতে হইবে।

প্রশাসনিক/ মানবসম্পদ বিভাগে উপস্থিত হওয়ার পর অবশ্যই নিয়োগপত্র দেয়া হয়ে থাকে এবং  কর্মীদের  নিম্মলিখিত বিষয়  সম্পর্কে পরিচিতি দেওয়া হয় এবং আইডি কার্ড প্রদান করা হয়

1.       প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং এর পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া।

2.       মজুরী ও সুবিধা সমূহ।

3.       পরিবেশ, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং অন্যান্য।

প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা, কর্মচারীদের দায়িত্ব ও নিয়ম-কানুন সম্পর্কে নিম্নবর্ণিত বিবরণ প্রদান করা হইবে

1.       কাজের সময় নিজ নিজ কাজের প্রতি মনোনিবেশ করতে হইবে।

2.       কাজের সময় অপ্রয়োজনীয় কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হইবে।

3.       নির্দিষ্ট স্থানে কাজ করিতে হইবে।

4.       কাজের সময় অন্যদের কাজে মনোনিবেশে বাঁধা প্রদান করা যাইবে না।

5.       কাজের স্থানে খাওয়া নিষেধ।

6.       যেখানে সেখানে থু-থু ফেলা নিষেধ।

7.       মেঝেতে কাগজ বা কোন ময়লা-আবর্জনা ফেলা নিষেধ।

8.       প্রত্যহ আইডি কার্ড ব্যবহার করতে হবে।

9.       সিজার বা কাটার সুতা দিয়ে বেধে কাজ করতে হবে।

10.   নিয়মিতভাবে আই গার্ড এবং নিডল গার্ড ব্যবহার করতে হবে।

11.   ফ্লোরে কর্মরত অবস্থায় সর্বদা মুখোশ ব্যবহার করতে হবে।

12.   ফ্লোরে কর্মরত অবস্থায় সর্বদা প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত ইউনিফর্ম ব্যবহার করতে হবে।

13.   অগ্নি নিরাপত্তা দলে নিযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়মিতভাবে পোশাক পরিধান করতে হবে।

14.   নিয়মিতভাবে কাজের আগে ও পরে মেশিন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে।

15.   টয়লেটে পানির কল ব্যবহার করার পর সঠিকভাবে তা বন্ধ করতে হবে।

16.   খাবার পানি অপচয় করা হতে বিরত থাকতে হবে।

17.   প্রত্যহ কাজে আগমন এবং নির্গমনের সময় আইডি/হাতের ছাপ পাঞ্চ করতে হবে।

18.   চলাচলের পথে বাঁধা সৃষ্টি হয়ে এমন কিছু করা হতে বিরত থাকতে হবে।

19.   লাঞ্চ এবং ছুটির সময় আস্তে আস্তে সারিবদ্ধভাবে নামতে হবে।

20.   শাস্তিমূলক বিষয়সমূহ এবং শাস্তি প্রদানের পদ্ধতি।

21.   ছুটির পদ্ধতি।

22.   কোম্পানির নিরাপত্তা নির্দেশনা:

23.   আই.ডি কার্ড পরিধান করা

24.   অপরিচিত কোন ব্যক্তি দেখলে, সাথে সাথে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তিকে অবহিত করা

25.   অনৈতিক বা নিরাপত্তা বিঘিœত হয় এমন অথবা আভ্যন্তরিন কোন ষড়যন্ত্র কার্যকলাপ দেখলে প্রশাসন বা সিকিউরিটি দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে জানানো।

26.   অবকাঠামোগত নিরাপত্তা, দেয়াল বেষ্টনি, দরজা ইত্যাদিতে কোন সমস্যা দেখা দিলে, সে বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তকে অবহিত করা।

27.   কম্পিউটার  পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রয়োজনিয় সতর্কতা অবলম্বন করা।

চাকুরীতে যোগদানের পর একটি আলাদা ব্যক্তিগত ফাইল তৈরী করা হয়, যাতে নিম্নোক্ত তথ্যাদি নথিভুক্ত হয়ঃ

1.       প্রার্থীর দরখাস্ত / জীবন বৃত্তান্ত।

2.       প্রার্থীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

3.       সাক্ষাৎকারের মূল্যায়ন তথ্য।

4.       ডাক্তারের কর্তৃক বয়স নিরুপন ফরম্।

5.       শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট এর কপি।

6.       স্থানীয় চেয়ারম্যান কর্তৃক নাগরিকত্ব সনদপত্র এর কপি।

7.       জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট এর কপি।

8.       জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।

9.       কার্যাবলীর মূল্যায়ন রিপোর্ট।

10.   নিয়োগ পত্রের একটি কপি।

11.   নমিনীর ছবি সহ ফর্ম।

12.   বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত চিঠির কপি।

13.   পুরস্কার / শাস্তি (যদি প্রযোজ্য হয়) রেকর্ড কিপিং।

14.   ছুটির দরখাস্ত।

15.   সার্ভিস বই।

16.   অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।

নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মীদের ক্ষেত্রে করণীয় বিষয় সমূহঃ

1.       নির্বাচিত প্রার্থী সকাল ৮:০০ ঘটিকার পূর্বে নিয়োগপত্রে নিয়ম-নীতি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।

2.       কারখানার শৌচাগার, ক্যান্টিন, জরুরী নির্গমন পথ, মেডিকেল সেন্টার ইত্যাদি সহ ফ্যাক্টরীর অবস্থান ঘুরে দেখানো।

3.       প্রত্যেক কর্মীকে হ্যান্ডবুক প্রদান করা।

4.       কর্মচারীর পরিচিতির পর নিজ নিজ বিভাগে এসে উপস্থিত হইবেন।

5.       নিয়োগ নিশ্চিত হবার পর এর পরিচয় পত্র প্রদান করে এবং প্রত্যেক শ্রমিক কর্মচারীকে উক্ত পরিচয় পত্র দেখিয়ে কারখানায় প্রবেশ করিতে হইবে।

6.       তাদের শ্রমিকদের শ্রম আইন এবং কারখানা কর্মপন্থা সম্পূর্নরূপে জানায়।

7.       কখনও জাতি, ধর্ম, বর্ণ এবং লিঙ্গভেদে পক্ষপাত মূলক আচরণ করে না।

যোগাযোগ ও বাস্তবায়নের জন্য কার্যপ্রনালী (Communication & Implementation)

কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রনীত অনুযোগ বা অভিযোগ নিরসনের নীতিমালা, কর্মসূচি ও কর্মপদ্ধতি নিম্ন লিখিত উপায়ে বা মাধ্যমে যোগাযোগ ও বাস্তবায়ন করা হয়। নিম্নোক্ত  Communication  এর মাধ্যম ও Reference উল্লেখ করা হলঃ

১। শ্রমিক কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষনের দ্বারা। (Training Document)

২। অংশগ্রহনকারী কমিটি মাধ্যমে (Participation Committee Document)

৩। নোটিশ বোর্ড এর মাধ্যমে (Notice Board of Each Floor)

৪। পিএ সিষ্টেম এর মাধ্যমে (PA System Register)

৫। মিটিং এর মাধ্যমে (Mid Level Management Meeting File) 

৬। প্রতিদিন ফ্লোর ভিজিট করার মাধ্যমে (Welfare Register & Grievance Register)

প্রতিক্রিয়া পদ্ধতি (Feedback & Control)

কিছু নিজস্ব কর্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে নীতিমালা বা পদ্ধতি বাস্তবায়ন করে যা নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

  1. প্রতিদিন কল্যান কর্মকর্তা তাদের নিজস্ব চেক লিষ্টের মাধ্যমে সংগৃহিত তথ্য সমূহের সঠিক সমাধান করে থাকেন।  
  2.  Internal Audit results (Audit Report).
  3.  Status of corrective and preventive actions (Audit Report).
  4. Customer feedback (Buyer Audit Report).
  5. Follow-up actions from previous management reviews (Audit Report).
  6. Recommendations for improvement (Audit Report).
  7.  এছাড়া Factory শ্রমিকদের কাজ কর্ম, কাজের গতি ও শ্রমিকের স্থায়িত্ব এসবের মধ্য থেকে ও Feedback প্ওায়া যায়। (Migration Report)

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved And Copyright Protected © 2022 HRM Bangladesh
Developed By HRM Bangladesh
error: Do Not Try To Copy. All Content is Protected by Law. Its a Punishable Offence !!
Verified by MonsterInsights